স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লক্ষ্মীমোড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হারুন মিয়ার-(৫০) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় আহত হওয়ার দুই মাস পর আজ শনিবার রাতে হারুন মিয়া মারা যাওয়ার খবরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত হারুন মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী বাড়ির গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে মৃত আব্দুস সুবাহান এর ছেলে আব্দুল করিম ও নুর আলীর ছেলে মোতালিব এর মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এর জেরধরে আব্দুল করিম, মোতালিব, নান্নু মিয়া, ইউনুস মিয়া ,মৃত জাহের মিয়ার ছেলে দানু ,শফিক , আলমগীর, আওয়ামী লীগ নেতা দুধ মিয়া গংদের মধ্যে কয়েক দফা ঝগড়া হয়। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলা দায়ের করেছেন। মামলা গুলো বর্তমানে চলমান রয়েছে।
পরবর্তীতে এসব মামলা মোকদ্দমা করার কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় হারুন মিয়া মনিপুর বন্দর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা আব্দুল করিম, তার ছেলে আশিকুল ইসলাম লিলু, দুধ মিয়া, নুর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, আব্দুল আহাদের ছেলে শাহীন, মাঈন উদ্দিনের ছেলে শাহীন, নান্নু মিয়ার ছেলে সুমন ও মাহতাব মিয়ার ছেলে রিটন ,মৃত জাহের মিয়ার ছেলে দানু মিয়া ও শফিকুল ইসলামসহ ১০/১৫ জন মিলে লক্ষীমুড়া গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়ির সামনে শেখ হাসিনা সড়কের উপর হারুন মিয়ার পথরোধ করে বেধম পিটিয়ে হাত, পা ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও হারুন মিয়ার সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা চেষ্টা করেন। এসময় হারুন মিয়ার বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হারুন মিয়াকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে টানা ১৭ দিন চিকিৎসা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ঢাকায় চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সম্প্রতি বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পরে শনিবার রাত ৮টায় আহত হারুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহত হারুন মিয়ার বড় ভাই জারু মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, বিষয়টি শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply